Sunday, August 09, 2015

Rants About TekkonKinkreet the movie - Part 1


ঠিক রিভিউ না। ভালো লাগার কয়েকটা দিক নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল, তাই লিখছি।

Art/Animation

Tekkon Kinkreet এর আর্ট ঐরকম না যেটা দেখে মনে হবে 'বাহ, কত রিয়েলিস্টিক', 'কত অসাধারণ'। বরং এইটা ঐ ধরণের আনিমে যেটা মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেয় যে এনিমেশনের উদ্দেশ্য বাস্তবতার যত কাছে আসা সম্ভব, তত কাছে আসা না। বরং এনিমেশন হতে পারে একটা শিল্প। এত ভাইব্রেন্ট কালারস, এত অসাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড, শেষ কবে দেখেছি আমার মনে পড়ে না।

গল্পের মূল ঘটনাস্থল Treasure town, যার আশেপাশের সব শহর অনেক আধুনিক হয়ে গেলেও এর মধ্যে আছে খানিকটা পুরনো ঘরানার ছোঁয়া। এবং এর রাস্তা, বিল্ডিং, এর ফেস্টিভাল, এর monuments, এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলার মত না। পুরো মুভি জুড়ে বেশ কয়েকবার শহরের ল্যান্ডস্কেপ দেখায়। মুভি না দেখে Google করলেও মনে হয় সেগুলোই সবার আগে আসে। সত্যি বলতে কি শুধু এই ল্যান্ডস্কেপ দেখেই মুগ্ধ হয়ে যাওয়া যায়।
 


তারপর আসে এনিমেশনের fluidity। এটা বলতে গিয়ে গল্পের premise কিছুটা আলোচনা করা যায়। আনিমের প্রধান দুই চরিত্র ব্ল্যাক আর হোয়াইট (জাপানিজে কুরো আর শিরো) হচ্ছে ট্রেজার টাউনের দুই অনাথ বাচ্চা। বয়স ১৩, ১১। অনেকটা ভাইয়ের মত, নিজেরাই নিজেদের ডাকে Cats। রাস্তার ছেলে, রাস্তার মত শহরটাকেও ঠিক নিজেদের শহর মনে করে। শহরের শান্তি রক্ষার দায়িত্বও যেন তাদের (এটা যদিও বিশেষত ব্ল্যাকের চরিত্রায়ন বলে ফেললাম)। শহরের পুলিশ, ইয়াকুযা (Gangster), পাশের শহর থেকে ছুটে আসা ঝামেলা পাকানো ছেলে-ছোকরারা, সবার হাত থেকেই তাদের শহর রক্ষা করতে হবে। যে কারণে বেশ কিছু একশন সিন আছে পুরো সিনেমা জুড়ে। একশন ফিল্ম না হয়েও এত fluid action scenes, যেটা দেখে আসলেই মনে হতে পারে সিনেমাটা শুধু বয়ে চলছে, আপনি সাথে চলছেন, এটা অবশ্যই সিনেমার খুব আকর্ষণীয় একটা দিক। সিনেমার একদম শুরুতেই একটা chase sequence আছে। সেটাই মনে হয় বেশিরভাগ দর্শককে মুগ্ধ করে ফেলার জন্য যথেষ্ট হবে।

এরকম হরেক রঙে রঙিন, শৈল্পিক উপায়ে বাস্তবতার রূপায়নের পরে একটা আনিমেতে যদি দুই প্রধান চরিত্রের মনস্তত্বেও বিচরণ করা হয়, তাহলে সেটা কেমন হতে পারে? হোয়াইট এবং ব্ল্যাক এর নামই তাদের মনস্তত্ব সম্পর্কেও খুব ভালো ধারণা দেয়। হোয়াইটের মন হচ্ছে শুভ্র। তার কল্পনায় থাকে আপেল গাছের সবুজ-লাল, সমুদ্রের নীল, সমুদ্রতটের সাদা/হলুদ, পৃথিবীর কলুষতা যেন তার ভেতরকে একদমই স্পর্শ করতে পারে না। তার উলটো দিকে ব্ল্যাকের অভ্যন্তরে একটাই রঙ - কালো। তাদের মনের ফিজিকাল রিপ্রেজেন্টেশন কেমন হতে পারে? তাও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়? সেটাও খুবই সুন্দর এবং bold ভাবে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমায়।
[চলবে]