Monday, July 22, 2013
Wednesday, July 17, 2013
Gomen'nasai
I'm sorry Abbu, I couldn't be there. At the end. No, that was a lie. I could've been there, I just wasn't. I didn't catch the bus home on the day before. I didn't do it until it was far too late.
I'm sorry I rarely listened to your advices at one period. That period of time when I believed in my own intellectual superiority so much, disregarded almost everything you said.
I'm sorry all those times you made the trip to Dhaka just to meet us, I didn't make more time for you.
I'm sorry I put off going home during vacation for as much as I did.
I'm sorry that those times that I did go, I didn't spend more time with you and Ammu. Didn't wake up in time to have breakfast with you. Didn't distract myself from my own little world for enough time to maybe do some of the things you suggested.
I'm sorry Abbu, I haven't changed. I'm still hurting Ammu much in the same way.
I'm sorry I rarely listened to your advices at one period. That period of time when I believed in my own intellectual superiority so much, disregarded almost everything you said.
I'm sorry all those times you made the trip to Dhaka just to meet us, I didn't make more time for you.
I'm sorry I put off going home during vacation for as much as I did.
I'm sorry that those times that I did go, I didn't spend more time with you and Ammu. Didn't wake up in time to have breakfast with you. Didn't distract myself from my own little world for enough time to maybe do some of the things you suggested.
I'm sorry Abbu, I haven't changed. I'm still hurting Ammu much in the same way.
Thursday, July 11, 2013
দি মাইটি তিন-স্টিক
ছবির এই জায়গাটা বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনের চৌরাস্তায়। এই যে বস্তুটা দেখা যাচ্ছে(এবং যার উপর আমি দাঁড়িয়ে আছি) এটার পারপাজ কি কখনোই বুঝে উঠতে পারি নাই। হয়তো ট্রাফিক পুলিশের দাঁড়ানোর জন্য রেডি করা, হয়তো অন্য কিছু। এর অফিশিয়াল ইউজ কখনোই কাউরে করতে দেখি নাই, এইটারে কি বলে তাও জানি না, জানতেও চাই না।
আমাদের কাছে এইটা অনেক বেশি কাছের একটা জায়গা। আমাদের কাছে এইটা বিভিন্ন হলের বন্ধুদের এসে মিলিত হওয়ার জায়গা। আমাদের কাছে এটা আড্ডা দিয়ে রাত কাটিয়ে দেওয়ার জায়গা। আমাদের জন্য এটা অনেক অনেক সুখ-দুঃখ শেয়ার করার জায়গা। কোন আইডিয়া নিয়ে বকরবকর করে রাতকে দিন বানিয়ে ফেলার জায়গা। ফজরের আযান শোনার পরও "রাত আরও বাকি আছে, আরো কিছুক্ষন আড্ডা দিই" বলার জায়গা।
একান্তই আমাদের নিজেদের একটা জায়গা।
আমাদের তিন-স্টিক।
Saturday, June 08, 2013
Tuesday, May 28, 2013
Tuesday, May 21, 2013
কলিং বেল
সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের হোমোয়ার্কের মধ্যে কলিং বেলের প্রতীক আঁকাইলাম।
সেই থেকেই মনে পড়ল এ মাসের শুরুতে যখন বাসায় গেছি, দেখি বাসার কলিং বেলের টোন চেঞ্জ হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই বাসার কলিং বেলে লম্বা-চওড়া মিউজিক্যাল টোন শুনে আসছি। এবারই প্রথম শুনলাম ক্লাসিক ধরণের "ক্রিং" মার্কা টোন। কেন? আম্মুক্ব জিজ্ঞেস করলে বলেছিল আব্বুর অত বড় টোনে ভাল্লাগছিল না। বাসার কলিং বেলের "বেল"টা আব্বুদের রুমের জাস্ট বাইরে, ঐ ঘর থেকেই সবচেয়ে জোরে শোনা যায়। আব্বুর যেন পেইন না লাগে, তাই মিউজিক্যাল টোন বাদ দিয়ে ছোট টোন।
ঐবার বাসায় যখন ছিলাম তখনই আব্বুর অনেক বেশি গরম লাগছিল বলে মুভেবল এয়ার কুলার কিনে আনে ভাইয়া, যখন আব্বু যে রুমে তখন সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
আব্বু সলিড কিছু খেতে পারছিল না বলে বাসায় হরলিক্স, গ্লুকোজ, গুঁড়ো দুধ এসব ভরিয়ে দেওয়া হয়। অসংখ্য ফল ছিল বাসায়, কারণ জ্যুস/শরবত খেতে পারছিল। সহজে স্যুপ বানানোর সরঞ্জাম রেডি ছিল।
আব্বুর লাংস ক্যান্সার ধরা পড়ে মার্চের শেষের দিকে। ধরা পড়ার পর দেড় মাস মাত্র বেঁচেছিল আব্বু।
এখনও আমাদের বাসা ভর্তি ফল, অনেক হরলিক্স-গ্লুকোজ বলে আমাকে দিয়ে দিয়েছে কিছু, কিছু ভাইয়াকে, কিছু আরও কাউকে।
আব্বুর পেনড্রাইভ, ইবুক রিডার পড়ে থাকত বাসায় পিসির পাশে। এখন আমার কাছে।
ড্রইং রুমে এখনও কুলারটা পড়ে আছে, হয়তো অনও করা হয় মাঝে মাঝে।
আব্বুর দাফন শেষে বাসায় ছিলাম যখন, অল্প-কয়বারই বেল বাজিয়েছি। ক্রিং করে শব্দটা হয়েছে। শুধু মনে হয়েছে, এখন আর আব্বুর সমস্যা হচ্ছে না মিউজিক্যাল টোনে। ছোট টোনে কোন সমস্যা দূরও হচ্ছে না আব্বুর। হচ্ছে না আর কিছুই।
সেই থেকেই মনে পড়ল এ মাসের শুরুতে যখন বাসায় গেছি, দেখি বাসার কলিং বেলের টোন চেঞ্জ হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই বাসার কলিং বেলে লম্বা-চওড়া মিউজিক্যাল টোন শুনে আসছি। এবারই প্রথম শুনলাম ক্লাসিক ধরণের "ক্রিং" মার্কা টোন। কেন? আম্মুক্ব জিজ্ঞেস করলে বলেছিল আব্বুর অত বড় টোনে ভাল্লাগছিল না। বাসার কলিং বেলের "বেল"টা আব্বুদের রুমের জাস্ট বাইরে, ঐ ঘর থেকেই সবচেয়ে জোরে শোনা যায়। আব্বুর যেন পেইন না লাগে, তাই মিউজিক্যাল টোন বাদ দিয়ে ছোট টোন।
ঐবার বাসায় যখন ছিলাম তখনই আব্বুর অনেক বেশি গরম লাগছিল বলে মুভেবল এয়ার কুলার কিনে আনে ভাইয়া, যখন আব্বু যে রুমে তখন সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
আব্বু সলিড কিছু খেতে পারছিল না বলে বাসায় হরলিক্স, গ্লুকোজ, গুঁড়ো দুধ এসব ভরিয়ে দেওয়া হয়। অসংখ্য ফল ছিল বাসায়, কারণ জ্যুস/শরবত খেতে পারছিল। সহজে স্যুপ বানানোর সরঞ্জাম রেডি ছিল।
আব্বুর লাংস ক্যান্সার ধরা পড়ে মার্চের শেষের দিকে। ধরা পড়ার পর দেড় মাস মাত্র বেঁচেছিল আব্বু।
এখনও আমাদের বাসা ভর্তি ফল, অনেক হরলিক্স-গ্লুকোজ বলে আমাকে দিয়ে দিয়েছে কিছু, কিছু ভাইয়াকে, কিছু আরও কাউকে।
আব্বুর পেনড্রাইভ, ইবুক রিডার পড়ে থাকত বাসায় পিসির পাশে। এখন আমার কাছে।
ড্রইং রুমে এখনও কুলারটা পড়ে আছে, হয়তো অনও করা হয় মাঝে মাঝে।
আব্বুর দাফন শেষে বাসায় ছিলাম যখন, অল্প-কয়বারই বেল বাজিয়েছি। ক্রিং করে শব্দটা হয়েছে। শুধু মনে হয়েছে, এখন আর আব্বুর সমস্যা হচ্ছে না মিউজিক্যাল টোনে। ছোট টোনে কোন সমস্যা দূরও হচ্ছে না আব্বুর। হচ্ছে না আর কিছুই।
Wednesday, January 02, 2013
"আমি ও আমার দাঁত"
আমার নিজের যদ্দুর মনে পড়ে ক্লাস টি বা থ্রি থেকে আমার দাঁত বেশ খানিকটা হলুদ। ঠিক সাধারণ না। দেখতে মনে হয় একটু খারাপই লাগে। ছোটবেলায় অনেক শুকনা-পটকা-দুর্বল একটা ছেলে ছিলাম। এই অসুখ-সেই অসুখ লেগে থাকত। আমিও থাকতাম বিভিন্ন ওষুধের উপর। কোন কোনটার সাইমেল্টেনাস রিএকশনের কারণে হয়তো সাদা রঙ হারায় গেছে। যাই হোক গায়ে লাগাই নাই আর কি বেশি। ছোট ছিলাম, দাঁতের রঙের মত আনইন্টারেস্টিং বিষয় নিয়ে চিন্তা করার সময় কই?
সমস্যাটা হইলো যখন বুঝলাম অন্যদের চোখে পড়ে জিনিসটা। আর এইটা আমারে কিঞ্চিত অস্বাভাবিক হিসেবে এস্টাব্লিশ করছে। প্রথম প্রথম এক দুইজন জিজ্ঞেস করতো "তোমার দাঁতে কোন সমস্যা আছে?"। পরের দিকে আর জিজ্ঞেস-টিজ্ঞেস করার ব্যাপার নাই, মোটামোটি ভালো সম্পর্ক যাদের সাথে তারা পরামর্শ দিত "নিয়মিত দাঁত মাজার অভ্যাস কর, নাহলে অনেক ক্ষতি হবে"। কিঞ্চিত খারাপ সম্পর্ক যাদের সাথে তারা আবর্জনার স্তুপ-টুপের সাথে তুলনা করে ফেলে এরকম অবস্থা।
তো এসবে আমার প্রতিক্রিয়া কি হইল? আমি ব্যাপারটা নিয়ে কিঞ্চিত ইনফেরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগতে শুরু করলাম। কথা বলার সময় মুখ বেশি ফাঁক করা যাবে না। হাহা করে প্রাণ খুলে হাসা যাবে না, পারতপক্ষে হাসি জিনিসটাকেই অ্যাভয়েড করতে হবে, যদি কখনো হেসেও ফেলি আটকাতে না পেরে, সাথে সাথে একটা হাত মুখের সামনে এনে দাঁতের ভিউ লুকাতে হবে। পুরাই গম্ভীর, ভীতিকর, ভাবিস্ট একজন মানুষ আর কি(আমি বলছি না আমার স্কুল লাইগে গম্ভীর, কিঞ্চিত অসামাজিক হওয়ার কোন ইম্পর্ট্যান্ট কারণ দাঁতের রঙ, তবে একটা কারণ তো বটেই)।
যাই হোক, আরেকটু বড় হলাম, বুঝতে শিখলাম কিছুমিছু। বুঝলাম আমার দাঁতের রঙ আসলে কাছের লোকজনের জন্য সেরকম সমস্যা না। ইন ফ্যাক্ট কারও জন্যই কোন সমস্যা না। সমস্যা যা সেইটা আমারই। এই হলুদ রঙের দাঁতের জন্য আমি হাসতে পারব না, সেইটা তো মেনে নেওয়া যায় না। সব ছবিতে আমি ঠোঁট চেপে ধরে গম্ভীর লুক দিব সেইটাও তো কাজের কিছু হল না। তাই আমি আবার আমার দাঁত বের করা শুরু করলাম। বিকট অট্টহাসি দেওয়া শুরু করলাম। এইটা কলেজের কথা। এখন অবস্থাটা এমনই দাঁড়িয়েছে যে মানুষজন আমার ছবি দেখে জিজ্ঞেস করে "ভাই তোর কি আদৌ কোন ছবি আছে যেখানে তোর দাঁত বের করা না?"। আমিও হেহে করে যাই। মানুষ এখন আবার আইসা দাঁত নিয়ে পচায়, ছবির ক্যাপশন দিয়ে দেয় "রুশো ও তার দাঁত"। আমিও পচি। আমারই তো দাঁত, হলুদ-টলুদ যাই হোক। আমি বের করে হাসতেই পারি। এটা নিয়ে কেউ মজা করতেই পারে, তার সাথে সাথে আমিও নাহয় মজা নিলাম।
:D :D
সমস্যাটা হইলো যখন বুঝলাম অন্যদের চোখে পড়ে জিনিসটা। আর এইটা আমারে কিঞ্চিত অস্বাভাবিক হিসেবে এস্টাব্লিশ করছে। প্রথম প্রথম এক দুইজন জিজ্ঞেস করতো "তোমার দাঁতে কোন সমস্যা আছে?"। পরের দিকে আর জিজ্ঞেস-টিজ্ঞেস করার ব্যাপার নাই, মোটামোটি ভালো সম্পর্ক যাদের সাথে তারা পরামর্শ দিত "নিয়মিত দাঁত মাজার অভ্যাস কর, নাহলে অনেক ক্ষতি হবে"। কিঞ্চিত খারাপ সম্পর্ক যাদের সাথে তারা আবর্জনার স্তুপ-টুপের সাথে তুলনা করে ফেলে এরকম অবস্থা।
তো এসবে আমার প্রতিক্রিয়া কি হইল? আমি ব্যাপারটা নিয়ে কিঞ্চিত ইনফেরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগতে শুরু করলাম। কথা বলার সময় মুখ বেশি ফাঁক করা যাবে না। হাহা করে প্রাণ খুলে হাসা যাবে না, পারতপক্ষে হাসি জিনিসটাকেই অ্যাভয়েড করতে হবে, যদি কখনো হেসেও ফেলি আটকাতে না পেরে, সাথে সাথে একটা হাত মুখের সামনে এনে দাঁতের ভিউ লুকাতে হবে। পুরাই গম্ভীর, ভীতিকর, ভাবিস্ট একজন মানুষ আর কি(আমি বলছি না আমার স্কুল লাইগে গম্ভীর, কিঞ্চিত অসামাজিক হওয়ার কোন ইম্পর্ট্যান্ট কারণ দাঁতের রঙ, তবে একটা কারণ তো বটেই)।
যাই হোক, আরেকটু বড় হলাম, বুঝতে শিখলাম কিছুমিছু। বুঝলাম আমার দাঁতের রঙ আসলে কাছের লোকজনের জন্য সেরকম সমস্যা না। ইন ফ্যাক্ট কারও জন্যই কোন সমস্যা না। সমস্যা যা সেইটা আমারই। এই হলুদ রঙের দাঁতের জন্য আমি হাসতে পারব না, সেইটা তো মেনে নেওয়া যায় না। সব ছবিতে আমি ঠোঁট চেপে ধরে গম্ভীর লুক দিব সেইটাও তো কাজের কিছু হল না। তাই আমি আবার আমার দাঁত বের করা শুরু করলাম। বিকট অট্টহাসি দেওয়া শুরু করলাম। এইটা কলেজের কথা। এখন অবস্থাটা এমনই দাঁড়িয়েছে যে মানুষজন আমার ছবি দেখে জিজ্ঞেস করে "ভাই তোর কি আদৌ কোন ছবি আছে যেখানে তোর দাঁত বের করা না?"। আমিও হেহে করে যাই। মানুষ এখন আবার আইসা দাঁত নিয়ে পচায়, ছবির ক্যাপশন দিয়ে দেয় "রুশো ও তার দাঁত"। আমিও পচি। আমারই তো দাঁত, হলুদ-টলুদ যাই হোক। আমি বের করে হাসতেই পারি। এটা নিয়ে কেউ মজা করতেই পারে, তার সাথে সাথে আমিও নাহয় মজা নিলাম।
:D :D
Subscribe to:
Comments (Atom)